সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি
---
জুলাই–আগস্টে ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যা সংঘটনের মতো ভিত্তিহীন, হাস্যকর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে তথাকথিত তথাকথিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)—যাকে দেশের জনগণ ইতিমধ্যেই রসাত্মকভাবে ‘ক্যাঙ্গারু কোর্ট’ নামে আখ্যা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, আইসিটি ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৭৩ সালে—মহান মুক্তিযুদ্ধে সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করার জন্য। যে ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার শুধুমাত্র যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকার, সেটিকে আজ অবৈধ-দখলদার, খুনি-ফ্যাসিস্ট, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির প্রতিনিধি- ইউনূস তার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। মহান মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ-চেতনাকে ধূলিসাৎ করে একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে ও পাকিস্তানি ভাবাদর্শ পুনঃপ্রতিষ্ঠার অপচেষ্টায় তিনি এই অবৈধ ট্রাইব্যুনালকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে—যা আজ বাংলাদেশের জনগণের কাছে দিবালোকের মতো স্পষ্ট।
সজীব ওয়াজেদ জয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক উপদেষ্টা হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে একনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। তাঁর নেতৃত্ব, নীতি-নির্ধারণে সহায়তা এবং নিরবচ্ছিন্ন প্রযুক্তিগত দিকনির্দেশনার ফলেই বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ। নতুন প্রজন্মের কাছে তিনি আজ একজন আইকনিক লিডার।
কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে হলে অভিযোগের সুদৃঢ় ভিত্তি ও প্রাথমিক প্রমাণ থাকার দরকার হয়। কিন্তু জুলাই–আগস্টের জঙ্গি উত্থানের সময় সজীব ওয়াজেদ জয় দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন—যা সর্বজনবিদিত ও প্রমাণিত সত্য। তিনি এখনো দেশের বাইরে এবং রাষ্ট্রযন্ত্র জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের দখলে থাকায় আদালতের হাজির হওয়ার বাস্তবিক সুযোগ নেই। মামলাটি সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশপ্রণোদিত এবং তাতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি মানবাধিকারের শতভাগ লঙ্ঘন।
বাংলাদেশের জনগণের কাছে এখন সুস্পষ্ট—খুনি-ফ্যাসিস্ট, গণশত্রু ইউনূস সুচিন্তিত ষড়যন্ত্র ও মেটিক্যুলাস ডিজাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার নীলনকশা বাস্তবায়ন করতেই সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে এই ধরনের অবাস্তব, অযৌক্তিক ও হাস্যকর অভিযোগ দাঁড় করিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
বাংলাদেশের জনগণ এই ষড়যন্ত্র ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে।
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের সংগ্রাম চলমান থাকবে।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।